WiFi vs Wire CCTV Camera Difference - কোন কামেরাটি আপনার জন্য !!

আমরা যারা সিকিউরিটি ক্যামেরা অথ্যাৎ সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে চাই তখন আমরা কনফিউসড হয়ে যায়! আমরা ওয়াইফাই ক্যামেরা লাগাবো না  ওয়ার বা হার্ডওয়্যার ক্যামেরা লাগাবো?

আজকের অ্যাটিকেল এ আমি আপনাদেরকে জানাবো ওয়াইফাই ক্যামেরা এবং ওয়ার ক্যামেরা ক্যামেরার সুবিধা অসুবিধা এবং কোন ক্যামেরাটি মূলত কাদের জন্য। আপনি কোন ক্যামেরা লাগাবেন আপনার বাসাবাড়ি অফিস বা কারখানার  জন্য । অ্যাটিকেল টি Skip না করে সম্প্রন্ন পড়ুন এবং কে কোথাই থেকে অ্যাটিকেল টি পড়ছেন কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না।



আমার অনলাইনে সার্চ দিলে অথবা কোন ক্যামেরা শপে গেলে দেখতে পাই মূলত  দুই ধরনের ক্যামেরা 

১) ওয়াইফাই ক্যামেরা 
২) ওয়ার বা কাবেল সহ ক্যামেরা। 

বিপত্তিটা বাঁধে তখনই!
যখন নিজের জন্য অর্থাৎ বাসাবাড়ি অফিস গোডাউন কল কারখানার জন্য ক্যামেরার সিলেট করতে যাই তখন কনফিউশন তৈরি হয়। কোনটা নিজের জন্য এপ্রোপিয়েট ক্যামেরা হবে। 

আজকের অ্যাটিকেল আমি আপনাদেরকে সকল ধরনের কনফিউশন দূর করে দিব যাহাতে আপনারা সহজে আপনার জন্য এপ্রোপিয়েট ক্যামেরাটি  বেঁচে নিতে পারেন।

প্রথমে জানবো ওয়াইফাই ক্যামেরা সম্পর্কেঃ 

ওয়াইফাই ক্যামেরা বাজারে বিভিন্ন নামে পরিচিত কেউ এদিকে DOLL ক্যামেরা বলে থাকে আবার কেউ এটিকে মিনি পিটি ক্যামেরা বলে থাকে, সিঙ্গেল ওয়্যারলেস ক্যামেরা বা ওয়াইফাই ক্যামেরা  বলে থাকে। 

এই ক্যামেরাগুলো বিভিন্ন ব্র্যান্ড তৈরি করে থাকে এর মধ্যে Dahua কোম্পানির Imou নামে পরিচিত Hikvision কোম্পানির Ezviz ক্যামেরা নামে পরিচিত, Uniview  কোম্পানির Unireach নামে পরিচিত, TpLink কোম্পানির Tapo নামে পরিচিত অর্থাৎ প্রত্যেকটা কোম্পানি এই wi-fi ক্যামেরা গুলা একটা Sub Brand তৈরি করে তাদেরকে এই সকল নামে মার্কেটে পরিবেশন করছে।

এই ওয়াইফাই ক্যামেরা গুলো  ওয়ান মেগাপিক্সেল অর্থাৎ ৭২০ পি  থেকে শুরু  করে 8 Megapixel বা এর অধিক Megapixel  পর্যন্ত মার্কেটে পাওয়া যায়।
এই ক্যামেরার পাওয়ার সংযোগ এর জন্য শুধুমাত্র কেবল বা তারের প্রয়োজন পড়ে কিন্তু স্টোরেজের জন্য বা এটিকে  অপারেট করার জন্য কোন নেটওয়ার্কে ক্যাবল সংযোগ প্রয়োজন পড়ে না। এক্ষেত্রে এতে থাকা মেমোরির মধ্যে সকল ভিডিও অডিও স্টোরেজ হয়ে থাকে।

এই ক্যামেরা গুলোকে আপনি আপনার ওয়াইফাই রাউটারের মাধ্যমে কানেক্ট হয়ে আপনি আপনার মোবাইলে অ্যাপস এর মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে ক্যামেরাটি অপারেট করতে পারবেন। অর্থাৎ অ্যাপসের মাধ্যমে আপনি আপনার বাসাবাড়ি অফিস গোডাউন কল কারখানার মনিটরিং করতে পারবেন।
ওয়াইফাই ক্যামেরা গুলো খুবই কম প্রাইজের মধ্যে মার্কেটে পাওয়া যায় যেমন এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রাইসে ক্যামেরা কিনতে পারবেন। একটি কিনলে ই হয় এর জন্য কোন প্যাকেজের প্রয়োজন পড়ে না
তবে এই ক্যামেরার কিছু অসুবিধা আছে যেমন ধরুন এই ক্যামেরায় ইন্টারনেট ছাড়া ভিডিও রেকর্ড করা যায় না বা আপনি মনিটরিং করতে পারবেন না।

এই ওয়াইফাই ক্যামেরাগুলোর মধ্যে মেমোরি কার্ডে ভিডিও সেভ হয়ে থাকে কেউ যদি ক্যামেরাটি খুলে নিয়ে যায় তাহলে আপনি আর চুরির ঘটনা বা ঘটে যাওয়া ঘটনা দেখতে পারবেন না। তবে খুব কম মূল্যে হয়ে থাকায় বাংলাদেশে এর জনপ্রিয়তা ব্যাপক পর্যায়ে রয়েছে।



এখন জানবো ওয়ার বা হার্ডওয়ার সিসিটিভি ক্যামেরা সম্পর্কে:

ওয়্যার ক্যামেরা গুলো ওয়াইফাই ক্যামেরা গুলার মত সকল ধরনের সুবিধা পাবেন। কিন্তু এই ক্যামেরা গুলার ভিডিও রেকর্ডিং এর জন্য আপনাকে DVR বা NVR ব্যবহার করতে হবে, পাওয়ার সংযোগের জন্য আপনাকে পাওয়ার CABLE ব্যবহার করতে হবে এবং ভিডিও রেকর্ডিং DVR / NVR ডিভাইস কানেকশনের জন্য আপনাকে অবশ্যই  CAT6, CAT5 CABLE ব্যবহার করতে হবে। 

যদি আপনি ANALOG HD ক্যামেরা লাগাতে চান তাহলে আপনাকে ব্যবহার করতে হবে NNETWORK CABLE, VIDEO BALUN, POWER ADAPTER, HARD DISK DRIVE ইত্যাদি জিনিস। অপরদিকে নেটওয়ার্ক ক্যামেরা লাগাতে গেলে আপনাকে NETWORK SWITCH, NETWORK CABLE ব্যবহার করতে হবে। ক্যামেরা রেকর্ডিংয়ের জন্য অবশ্যই HARD DISK DRIVE এর প্রয়োজন পড়বে।
অর্থাৎ এই ক্যামেরা নিজে নিজে ভিডিও রেকর্ড  করতে পারে না। রেকর্ডিং এর জন্য আলাদাভাবে ডিভাইস লাগে। তবে এই ক্যামেরাগুলো অনেক টেকসই এবং আপনার প্রপার চাহিদা পূরণ করতে পারে সক্ষম।

এই ক্যামেরাগুলো একসাথে অনেকগুলো ক্যামেরা লাইভ স্ট্রিমিং, এবং মোবাইলের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে বসে অপারেট করা যায়।
ওয়াইফাই ক্যামেরা যেমন একসাথে অনেকগুলো ক্যামেরা ব্যবহার করা অনেক কষ্টসাধ্য। কিন্তু ওয়ার বা হার্ডওয়ার ক্যামেরা ততই সহজ।

এই ক্যামেরাগুলো বিভিন্ন ব্র্যান্ড তৈরি করে থাকে এর মধ্যে Dahua , Hikvision, Uniview, Zovision, CP Pluse, Lilin, Axis, Huawei ইত্যাদি ব্র্যান্ড  পাওয়া যায়। 

সর্বশেষ আমার মতামত থাকবে আপনি যদি একটি বা দুইটি ক্যামেরা লাগাতে চান পরবর্তীতে আর কোন ক্যামেরা এক্সটেন্ড করতে না চান 
অর্থাৎ এই দুই ক্যামেরার মাধ্যমে আপনার সকল প্রয়োজনীয়তা পরিপূর্ণ হবে । সে ক্ষেত্রে আপনি ওয়াইফাই ক্যামেরা লাগাতে পারেন। কিন্তু যদি দুই বা তার অধিক ক্যামেরা লাগানোর প্রয়োজন পড়ে সে ক্ষেত্রে আপনি যেখানেই হোক না কেন বাসা বাড়ি অফিস কল কারখানা আপনি নিশ্চিন্তে ওয়ার বা হার্ডওয়ার ক্যামেরা লাগাবেন সেটি  HD ANALOG ক্যামেরা হোক বা IP বা NETWORK CAMERA হোক।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Top Post Ad

Below Post Ad