আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে জানাবো টুরিস্ট সিম কি? কাদের জন্য এই সিমটি? এবং এর ব্যবহারের নিয়মাবলী।
প্রথমে জেনে নেওয়া যাক টুরিস্ট সিম কি?
সাধারণত বাংলাদেশ সে যে সকল বিদেশি নাগরিক/টুরিস্ট ভ্রমণ করতে আসে তাদের জন্য যে সকল সিম কার্ড ব্যবহার করা হয় এই সকল সিম কে টুরিস্ট সিম বলে।
সাধারণত আমরা যখন দেশের বাইরে যাই যেমন ধরুন ইন্ডিয়াতে ৭ দিন অথবা ১০ দিন বা ১৫ দিনের জন্য যাই তখন আমাদের সিমের প্রয়োজন হয় তখন আমরা যে সিম গুলা ক্রয় করি এই সিমটা মূলত টুরিস্ট সিম হয়ে থাকে। ব্যাপারটা হচ্ছে বাংলাদেশে এই সিম এর ব্যবস্থা আগে ছিল না এখন সেটি চালু করলো BTRC।
বাংলাদেশের ভ্রমণকারী যে কোন বিদেশী নাগরিক তাদের পাসপোর্ট দেখিয়ে এই সিম নিতে পারবে। বর্তমানে আমাদের দেশে বিদেশি নাগরিক সিম ব্যবহারের জন্য প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী সিম কিনতে হতো যা বায়োমেট্রিক নিবন্ধন এর মাধ্যমে করা হয়। এই প্রচলিত সিমটি যদি একবার ব্যবহার করা পর বন্ধ করে রাখা হয় তাহলে সেই সিমটি বন্ধ হতে ৫৪০ দিন সময় লাগে। এই ৫৪০ দিন পার না হওয়া পর্যন্ত সিম কোম্পানিটি সিমটি পুনরায় বিক্রি করতে পারত না। কিন্তু বর্তমানে টুরিস্ট সিম ৭ দিন বা ১৫ দিন অথবা ৩০ দিন মেয়াদে নিতে পারবে। এই টুরিস্ট সিমের নাম্বার গুলো একটি নির্দিষ্ট সিরিজের হবে যেমন ধরুন গ্রামীণের ০১৭ আবার ০১৩ এই সকল সিরিজ নাম্বারগুলো পৌচলিত আছে। এই টুরিস্ট সিমের নাম্বার গুলো ভিন্ন সিটিজের হবে।
এই সিমটি নিতে গেলে কি কি কাগজ লাগবে?
এই সিমটি ক্রয়ের জন্য পাসপোর্ট থাকতে হবে অথবা ভিসা থাকতে হবে এই দুটি দেখিয়ে এই সিম যে কোন বিদেশি নাগরিক নিতে পারবে।
এই সিমের প্যাকেজ কি ভিন্ন হবে এর সুবিধা অসুবিধা?
এই সিমে সিম কোম্পানিগুলো ভিন্ন ভিন্ন বিভিন্ন অফার দিতে পারবে তবে সেটির বিটিআরসির অনুমতি নিয়ে। এই সিমে নেটওয়ার্ক সুবিধা প্রচলিত সিমের মত একই থাকবে। এই সিমের মেয়াদ হবে ৭ দিন অথবা ১৫ দিন অথবা ৩০ দিন| এই মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে তাকে আবার নতুন করে সিম নিতে হবে।
এই সিমটি পাওয়া যাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন এয়ারপোর্ট, নৌবন্দর, ল্যান্ড পোর্ট, সব পোর্ট অফ এন্টি তে বিটিআরসির অনুমোদিত রিটেলারের কাছ থেকে এই সিম ক্রয় করতে পারবে। তাছাড়াও বাংলাদেশের যে কোন কাস্টমার সার্ভিস সেন্টার থেকে সিমটি ক্রয় করতে পারবেন।
এই টুরিস্ট সিমের অফার সম্পকে জানতে চাইলে কমেন্টে জানান। এ ছাড়া নিয়মিত চোখ রাখুন আমাদের ওয়েব সাইটে।।